তীব্র গরমের মধ্যে লোডশেডিং দেওয়ার জন্য দেশবাসীর কাছে দুঃখও প্রকাশ করেছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেছেন, জ্বালানির যোগান দিতে কষ্ট হওয়ায় বেশ কিছু দিন যাবত লোডশেডিং বেড়ে গেছে। আমরা জানি পরিস্থিতি অসহনীয়। পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য কয়লা কতো তাড়াতাড়ি আনা যায় সেই চেষ্টা করছি।
তিনি জানান, অনেক কেন্দ্রে বিদ্যুৎ অর্ধেক উৎপাদন হচ্ছে। হিটওয়েভের ফলে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে গেলেও শিডিউল লোডশেডিংয়ে যাওয়ার চিন্তা আপাতত নেই। আশা করি, দুই সপ্তাহের মধ্যেই সব ঠিক হয়ে যাবে। আজ রবিবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে তিনি এসব কথা বলেন।
বিদ্যুৎ পরিস্থিতি উন্নতির জন্য আগে থেকে চেষ্টা করা হয়েছিল কি না জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দুই মাস আগে থেকেই চেষ্টা করছিলাম। তবে আমাদের অনেক কিছু দেখতে হয়। অর্থনৈতিক বিষয়, সময় মতো এলসি খোলা, জ্বালানি পাওয়ার বিষয় আছে। সেই বিষয়গুলোকে আমাদের একসঙ্গে সমন্বয় করে নিতে হয়।
তিনি বলেন, তবে আশার কথা হলো, সামাল দেওয়ার একটা ব্যবস্থা অন্তত হয়ে গেছে। সেজন্য আমাদের ১/২ সপ্তাহ সময় দিতে হবে। সে সময় পর্যন্ত সবাইকে কিছুটা কষ্ট সহ্য করতে হবে।
তিনি জানান, আমাদের লিকুইড ফুয়েল নির্ভর যে পাওয়ার প্ল্যান্টগুলো ছিল, সেগুলোর প্রায় অর্ধেক ক্যাপাসিটিতে চলছে। সেজন্য আমাদের লোডশেডিংয়ের মাত্রাটা অনেক বেড়ে গেছে। বিশেষ করে ঢাকা শহরের আশপাশেসহ গ্রাম অঞ্চলে বিভিন্ন জায়গাতে। আমরা সকাল থেকে এটা মনিটর করছি।
বর্তমানে ২৫০০ মেগাওয়াট লোডশেডিং হচ্ছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ধীরে ধীরে তা কমিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। পাওয়ার প্লান্ট রেডি আছে। জ্বালানি আসার পেছেনের বিষয় সব সময় আমাদের হাতে থাকেনা। সমন্বয় কোথাও বাধাগ্রস্ত হলেই সমস্যা হয়। এবারও তাই হয়েছে। তবে এখন কন্ট্রোলে।
তিনি বলেন, পিক আওয়ারে ডিমান্ড বেড়ে গেছে। আমাদের হাতে যে পাওয়ার প্ল্যান্ট মজুত ছিল, বিদ্যুৎ সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখার জন্য প্রস্তুত রাখছিলাম, সেটাও আমরা জ্বালানির কারণে দিতে পারছি না।